
যাত্রী প্রতি একটাকা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে খুলনার পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত নৌকা মাঝি সংর্ঘ ২২ অক্টোবর ২৪ ঘন্টা নদীতে ট্রলার পারাপার বন্ধ ঘোষণা করেছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন ব্যাপারী। শুক্রবার রাতে রূপসা ঘাটে এ সংক্রান্ত নোটিশ টানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ভোর থেকে সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং যত্রতত্র বিআরটিসির কাউন্টার বন্ধের দাবিতে খুলনার ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিক সমিতি। একই সাথে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোসহ ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ শ্রমিকরা। এতে সারাদেশ থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে খুলনা শহর।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ২২ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে আসতে বাধা দিতেই এ ধরনের ধর্মঘট কর্মসূচি ডেকে ভোগান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
রূপসার বাসিন্দা আনোয়ার আহমেদ জানান, হঠাৎ করেই এমন সিদ্ধান্তে আমরা বিব্রত। রাতের কাজ শেষ করে নগরী থেকে রূপসায় ফিরতে ১০টা বাজে। অনেক সময় আরও গভীর রাত হয়। কোন ধরণের পূর্ব নির্ধারিত আলোচনা ছাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে রূপসা ঘাট মাঝি সংঘর্ষে সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ ব্যাপারী বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঘাট পারাপারের যাত্রী প্রতি এক টাকা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু এতে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।