
বাগেরহাটে মধ্যরাত থেকে সোমবার দিনভর একটানা ভারি বৃষ্টিপাতে শহরের অধিকাংশ সড়ক হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ী। বাসাবাড়ি ও ঘরের সামনে হাঁটু পানি জমে থাকায় শিশুদের নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছে শহরবাসী। তাছাড়া অনেক চুলায় পানি ঘরের ওঠায় রান্নাবান্নাও করতে পারছে না অনেক পরিবার। শহরের এসব পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
দুপুরে বাগেরহাট শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রানকেন্দ্র খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, মিঠাপুর পাড়, শহীদ মিনার বোড, মেইন রোডের পুরাতন বাজার মোড়, পোস্ট অফিসের সামনে, পুরাতন কোর্ট, নিউমার্কেট, রাহাতের মোড়, আলিয়া মাদ্রাসা রোডসহ অধিকাংশ সড়কে বৃষ্টির হাটু সমান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। খোদ পৌরসভার সামনেও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এসব এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ শহরের প্রধান কাঁচা বাজার, মাছ বাজারেও পানিতে প্লাবিত হয়ে রয়েছে। মধ্যরাত থেকে সোমবার দিনভর একটানা ভারী বৃষ্টিপাতে শহরের রাসাবাটি, খারদার, বাতিপাড়া, আমলাপাড়া, নাগের বাজার, পুরাতর বাজার, সরুই, আলীয় মাদ্রাসা রোডে. হাড়িখালীর নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ বাসাবাড়ীতে বৃষ্টির ঢুকে পড়েছে। হাঁটু পানি জমে থাকায় শিশুদের নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছে শহরবাসী। তাছাড়া অনেক চুলায় পানি ঘরের ওঠায় রান্নাবান্নাও করতে পারছে না অনেক পরিবার। শহরের এসব পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রতিবছরই তাদের এভাবে পানিবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে।
বাগেরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিরর তালুকদার আবদুল বাকী জানান, ময়লায় ভরাট হওয়া ড্রেনগুলো বর্ষা মৌসুমের আগে না করা, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও পৌরসভার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত না করার ব্যর্থতার কারণেই প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পৌরবাসীকে বৃষ্টির পানিতে পানিবন্দি হতে হচ্ছে।