Thursday, 22nd May, 2025
Thursday, 22nd May, 2025

জাজিরায় ওসির মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, হয়েছে মামলা।

শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের। আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই আবুল কালাম বাদি হয়ে জাজিরা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা পুলিশ সুপার।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে থানার ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা দেখতে পান থানার চারতলা ভবনের দোতলায় ওসির শয়ন কক্ষে জানালার সঙ্গে আল-আমিনের মরদেহ ঝুলছে। পরে ঢাকা সিআইডি ফরেনসিক টিম এসে সুরতহাল শেষ করে সন্ধ্যার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ ও পরিবার বলছে গত দুই বছর যাবত তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন আল-আমিন। প্রায় চার মাস যাবত ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এরআগে তিনি বরগুনা জেলার গাজিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

জাজিরা থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধারজাজিরা থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার
নিহত ওসি আল-আমিনের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদি থানার কাঁচিচর এলাকায়। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শরীয়তপুর পুলিশ লাইনস মাঠে জানাজা শেষে তাকে গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ ।
শরীয়তপুর পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কিছু ঔষধ পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করা হয় ডিপ্রেশন ও মানষিক সমস্যার জন্য।

সদর হাসপাতালের ব্রেইন ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুনতাসির খান বলেন, ‘দেখা যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আত্মহত্যা করছে। তাদের ৯০ ভাগের মধ্যে ডিপ্রেশন আছে বলছে এই মনোরোগ চিকিৎসক।’

জাজিরা থানার ওসি বিষণ্নতা থেকে আত্মহত্যা করেছেন, বলছে পুলিশ জাজিরা থানার ওসি বিষণ্নতা থেকে আত্মহত্যা করেছেন, বলছে পুলিশ
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ডিপ্রেশনের বিষয়টি গোপনে রাখা হয়েছিল, পরবর্তীতে পরিবার থেকে জানা গেল তিনি ডিপ্রেশনে ভূগছিলেন। ওসির মৃত্যুতে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এছাড়াও তিন সদস্য একটি অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে।

সংবাদটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন