
বোরো মৌসুমে মিষ্টি পানির অভাব।।
কলাপাড়ায় অনাবাদি থেকে যাচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি, ২০ জানুয়ারি।। সাগর তীরবর্তী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিষ্টি পানির অভাবে বোরো মৌসুমে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। এর জন্য কৃষকরা দায়ী করেছেন ¯øুইসগেটর অব্যাবস্থাপনা, খাল ভরাট, দখল ও বন্দোবস্ত দেওয়াকে। ইচ্ছা থাকলেও এসব কারনে অনেক কৃষক বোরো আবাদ করতে পারছেননা। তবে যে সব খালে মিষ্টি পানি সংরক্ষিত রয়েছে তার কাছাকাছি কিছু জমিতে বোরোচাষ করছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে বোরোচাষ চলমান রয়েছে। তবে এর পরিমান আরও বাড়তে পারে। তবে জমির মালিক ও বর্গাচাষিরা জানান, তাদের বোরো চাষের ইচ্ছে থাকলেও মিষ্টি পানি না থাকায় চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাদের মতে বর্ষা শেষে জমি লবনাক্ততা থেকে রক্ষার জন্য ¯øুইসগেট গুলো আশ্বিন মাসের শেষদিকে আটকে দিলে মিষ্টি পানি সংরক্ষিত থাকতো। যা থেকে বোরোসহ রবিশস্য চাষাবাদ করতে পারতেন। তাই এর স্থায়ী সমাধান চায় কৃষকরা।
এদিকে কৃষিতে মডেল ইউনিয়ন নীলগঞ্জের খালের পাড় ঘেষা এলেমপুর, নবাবগঞ্জ, সলিমপুর, ইসলামপুর, ঘুটাবাছা, কুমিরমারা গ্রামে কম বেশি বোরো চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এছাড়াও উপজেলার যে সমস্ত ইউনিয়নের মিঠাপানির মজুদ রয়েছে সেইসব জায়গায় বোরোধান চাষ করছেন চাষিরা।
কৃষক আলফাজ গাজী বলেন,আমন মৌসুমে চাষাবাদে, বীজ,সার,কিটনাশক, শ্রমিকের মজুরি সহ সকল খরচ বাদ দিয়ে ভালই লাভ হয়েছে। আগ্রহ বোরোচাষ করার। কিন্তু মিষ্টি পানি না থাকার করনে তা সম্ভব হয়নি।
অপর এক কৃষক পরিতোষ হাওলাদার জানান, তার জমির পাশে খাল নেই। বাড়ির কাছাকাছি অল্পপরিমান জমিতে পুকুরের পানি দিয়ে বোরো চাষ শুরু করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আরাফাত হোসেন বলেন, গত বছর এ উপজেলায় ১৫’শত হেক্টর জমিতে বোরোচাষ হয়েছে। এবারে লক্ষমাত্রা ২ হাজার হেক্টর। তবে আশা করছি ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হবে। এ লক্ষমাত্রা পূরনে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকরা মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে এ উপজেলায় বোরো আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।