Friday, 23rd May, 2025
Friday, 23rd May, 2025

কোনো বছরই মরিচের দাম এভাবে রেকর্ড করেনি : ভোক্তার ডিজি

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, কাঁচা মরিচের মূল্য ১০ গুণ বাড়ার কোনো কারণ নেই। প্রতি বছর বর্ষার সময় মরিচের উৎপাদন কমে, দাম বাড়ে। তাই বলে কোনো বছরই মরিচের দাম এভাবে রেকর্ড করেনি। তার মানে বাজারে কোনোভাবে অদৃশ্য হাত কাজ করেছে। সেটার ফলাফল কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা হয়েছে। এর জন্য আমরা সবাই একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। এটি কোনো সভ্যতার লক্ষণ নয়। রবিবার চিনি, কাঁচামরিচ, আদা ও রসুনের মূল্য এবং সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সুপারশপ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, অভিযান ও ভারত থেকে আমদানি শুরুর পর কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা স্বস্তির জায়গায় এসেছিল। ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে নেমেছিল। এখন কিন্তু আবার দাম বাড়তি। মরিচের মূল্য বৃদ্ধির কয়েকটি যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টি, কোরবানির ঈদের সময় পরিবহন সংকট, বর্ডার বন্ধ থাকা। কিন্তু এসব কারণ দিয়ে কোনোভাবেই কাঁচা মরিচের কেজি ৮০০-১০০০ টাকা হবে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম তিন-চারদিন ধরে বাড়তি। এটা এর আগে বাড়তি ছিল না। কিন্তু তখনও বাজারে স্বস্তি ছিল না। কারওয়ান বাজার থেকে যদি ৪০০ টাকা দরে মরিচ কিনে আমাদের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো ৬২০ টাকায় বিক্রি করে, এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে তারাও একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। তারা যদি সুপার শপে ৬২০ টাকা কাঁচা মরিচ বিক্রি করে তাহলে খোলা বাজারেও দাম বেড়ে যাবে। ডিজি বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী, কাঁচামালে উৎপাদক পর্যায়ে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ ও খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ লাভ করার নিয়ম রয়েছে। তারপরও সুপারশপ ও বিক্রেতারা এর থেকে বেশি লাভ করেছেন।

সংবাদটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন