
ঢাকার ধামরাইয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তা করার অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরশহরের চোট চন্দ্রাইল এলাকা থেকে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
তবে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্র ও বৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক তুষার আহাম্মেদ শান্তর মামা ধর্ষক আরফান আলী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তিনি ওই মহল্লার মো. বদর উদ্দিন মাতাব্বরের ছেলে।
এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই ছাত্রলীগ নেতার মামাসহ ৩ জনের নামে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, আরফান আলীর কাছ থেকে ওই নারী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তার বাসায় ডেকে আনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আরফান আলী। আর এ ধর্ষণের দৃশ্য ওই নারী সালমা বেগম মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে এ কথা কাউকে বললে ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ওই ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া হয়।
ওই স্কুলছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে ওই বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের দৃষ্টিগোচর হয়। তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে সে অকপটে তার পাশবিকতার কথা বর্ণনা করে। এলাকাবাসী দ্রুত পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ধামরাই থানার এসআই মো. আব্দুল জব্বার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ধর্ষক দ্রুত পালিয়ে যান। পুলিশ সালমাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দামরাই থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালমা সুন্দরী, ধর্ষক আরফান আলীসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
এসআই জব্বার বলেন, এ ঘটনায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক পলাতক থাকলেও সহায়তাকারী সালমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।