শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের দেওয়ান কান্দি গ্রামে ঘাস খেত থেকে ধরা হয়েছে পাঁচটি বন বিড়ালের ছানা। বাচ্চাগুলো খুবই ছোট থাকায় প্রাণিসম্পদ অফিস তা লালন পালন করতে ব্যর্থ হওয়ায়, রাত ৮ টার দিকে বন কর্মকর্তা পুনরায় একৈই স্থানে ছানাগুলোকে অবমুক্ত করেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) উপজেলার গোপালপুর দেওয়ানকান্দি এলাকার স্থানীয় লালন মাদবর গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে দেখতে পান বনবিড়াল ছানা গুলোকে। প্রথমে বিড়াল ছানা ভেবে ধরতে গেলে, মা বনবিড়াল ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে আসে। লালন এর ডাক চিৎকার শুনে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসে গ্রামের লোকজন। লোকজন দেখে মা বন বিড়াল পালিয়ে গেলেও, আটক হয় বন বিড়াল ছানাগুলো। আটকের পর বাচ্চা বনবিড়াল গুলোকে বাড়িতে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী নুর আলম মাতবর বিড়াল ছানা গুলোকে নিয়ে যায় জাজিরা উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, বন বিড়াল বাচ্চা গুলো আমার হাতে তুলে দিলে, বাচ্চা গুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে বাচ্চাগুলো পরীক্ষা করে জানা যায় সুস্থ আছে। কিন্তু বাচ্চাগুলো এতোই ছোট যে তা লালন-পালন করা সম্ভব নয়। তাই যেখান থেকে বাচ্চা গুলো ধরা হয়েছে, সেখানে আবার অবমুক্ত করে দিয়েছি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুর রহমান বলেন, বন বিড়ালের ছানা গুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেছি, বাচ্চাগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তবে বাচ্চাগুলো এত ছোট যে তা আমাদের লালন-পালন করা সম্ভব নয়। এগুলো লালন-পালন করতে খুলনায় পাঠাতে হবে। সেখানে নিতে নিতেই বাচ্চাগুলো অসুস্থ হতে পারে বা মারাও যেতে পারে। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রাণী সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখান থেকে বাচ্চা গুলো ধরা হয়েছে, সেখানেই অবমুক্ত করা উচিত। যাতে মা তার বাচ্চাগুলোকে লালন পালন করতে পারে।