Thursday, 22nd May, 2025
Thursday, 22nd May, 2025

তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা পরিবর্তন হলো

চলতি বন্যা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে একাধিকবার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছিল ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সেটা মঙ্গলবার থেকে বাড়িয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। ৫৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি করে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন ওই পয়েন্টে কেন বার বার পানি বিপৎসীমার ওপরে যাচ্ছিল, এর কারণ খুঁজে পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নতুন বিপৎসীমা নির্ধারণ করেছে।

তিস্তা নদীর ওপর ডালিয়া ব্যারাজ চালু হয়েছে ১৯৯২ সালে। ডালিয়া ব্যারাজ চালুর পর থেকে বর্ষা মৌসুমে সর্ব প্রথম পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে আসছে ডালিয়া পয়েন্টে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চলে আসলেও এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে। তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে প্রথমে বিপৎসীমা অতিক্রম না করে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এর কারণ কী। পানি উন্নয়ন বোর্ড তা অনুসন্ধান করে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে হাইড্রোলজি বিভাগ ওই পয়েন্টে পানি পরিমাপের লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, কাউনিয়ার তিস্তা রেল সেতু এলাকায় কয়েকটি চর জেগেছে। চরের কারণে পানির লেভেল ওপরে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও নদীর দুই কূল উপচিয়ে পানি লোকলয়ে প্রবেশ করেনি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরে এলে তারা ঢাকার হাউড্রোলজি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে। তারা বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখতে পান জেগে উঠা চরের কারণে এমনটা হচ্ছে। তাই পানি পরিমাপের লেভেল বাড়িয়ে দিয়ে নতুন করে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। তিস্তা নদী বেষ্টিত কাউনিয়া উপজেলার গদাই এলাকার প্রায় কয়েক শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া চর এলাকায় কয়েকশত পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ডালিয়ার পরিবর্তে কাউনিয়া পয়েন্টের পানি কেন বিপৎসীমা অতিক্রম করছে, এর কারণ জানতে হাইড্রোলজি বিভাগে জানানো হয়েছিল। তারা নতুন করে বিপৎসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

সংবাদটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন