Thursday, 22nd May, 2025
Thursday, 22nd May, 2025

যাত্রী ছাউনি নেই মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে, ভোগান্তি চরমে

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে কোনো যাত্রী ছাউনি নেই। দুটি যাত্রী ছাউনি থাকলেও তা রাস্তা প্রসস্ত করার সময় ভেঙে ফেলা হয়। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।

জেলাবাসীর রাজধানীতে যাবার অন্যতম স্থান হচ্ছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। জেলার শিবালয়, ঘিওর, দৌলতপুর, হরিরামপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন সাধারণ যানবাহনের জন্য মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এসে জড়ো হনয়। তারপর তুলনামূলক একটু দূরপাল্লার যানবাহণে উঠে যাত্রীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যান।
কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে যাত্রীরা পড়েন মহাবিপাকে। এখানে কোনো ধরনের যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা নেই। নেই কোন পাবলিক টয়লেট। যাত্রী ছাউনি না থাকায় দূর-দূরান্তের যাত্রীরা রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে যায়। এখানে এসে বয়স্ক ও শিশুরা হয়ে পড়ে অসহায়।

ঢাকাগামী মিরাজ হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলায়। যমুনা নদী পাড়ি দিয়েছি ইঞ্জিন চালিত নৌকায়। তারপর লোকাল বাসে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এসে একটু ভালো বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখানে কোন যাত্রী ছাউনি না থাকার কারণে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আরেক যাত্রী রেবেকা বলেন, আমি জাফরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছি। আমি একটি পোষাক কারখানায় কাজ করি। মা এবং সাত বছরের সন্তান মৌটুসি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পরেছে।

তিনি আরোও বলেন, এমন একটি গুরুত্বপুর্ণ বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাইনি থাকবে না ভাবাই যায় না।

পৌর সভার প্যানেল মেয়র তছলিম হৃদয় বলেন, রাস্তা প্রসস্ত করার সময় পৌরসভার নির্মিত যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে ফেলা হয়। পুনরায় যাত্রী ছাউনি করার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গার ব্যবস্থা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি আধুনিক যাত্রী ছাউনি করা হবে।

অপর দিকে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. গোলাম মহীউদ্দীন একই কথা বলেন। তিনিও বলেন, মহাসড়কের পাশে জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গা নেই। যাত্রী ছাউনি করার জন্য জায়গার ব্যবস্থা হলে একটি মানসম্পন্ন যাত্রী ছাউনি করা হবে।

সংবাদটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন