
শরীয়তপুরের একটি গ্রামে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা একটি মশাল মিছিল করেছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার জয়নগর এলাকায় ওই মিছিল করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
শতাধিক লোকজন হাতে মশাল নিয়ে মিছিল করছেন ৪৫ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মিছিল কারীরা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
ওই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। শনিবার রাতে ওই ভিডিওটি আওয়ামী লীগের ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজ থেকেও শেয়ার করা হয়েছে।
ওই মশাল মিছিলের পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুরের নেতারা, বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া লিখে পোস্ট দিয়েছেন।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর শরীয়তপুরে দলটির আর কোন কর্মসূচি পালন করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মশাল মিছিল করেছে। এখন থেকে নিয়মিত আমাদের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি থাকবে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)
মাসুদুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি জটিকা মশাল মিছিল করা হয়েছে। ওই মিছিলে কারা অংশ নিয়েছিল কারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান।।
আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি স্মারকলিপি রোববার সকালে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। রোববার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে নিচতলার তথ্যসেবা কেন্দ্রে (ফ্রন্ট ডেস্ক) ওই স্মারকলিপিতি জমা দিয়েছেন। ওই স্মারকলিপিতে
আইসিটি ট্রাইবুনালে প্রহসনমূলক, ঘৃণ্যতম ও জঘন্যতম অসাংবিধানিক ও বেআইনি কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানানো হয়।
আত্মগোপনে থাকা শরীয়তপুর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অন্যায় ভাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করার নামে প্রহসন করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে ও কোন প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছিল তার বিবরণ দিয়ে একটি স্মারকলিপি সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের দেয়া হয়েছে। প্রথমে আমি শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসককে মেইলে স্মারকলিপিটি পাঠিয়েছি। এরপর আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের সিনিয়র নেতারা সশরীরে গিয়ে ওই সারক লিপি জেলা প্রশাসনের দপ্তরে জমা দিয়েছেন।