Thursday, 22nd May, 2025
Thursday, 22nd May, 2025

শরীয়তপুরের নড়িয়াকে পদ্মা ভাঙনের ঝুকিমুক্ত রাখাতে পদ্মা নদী থেকে টেন্ডারের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ

“নড়িয়া বেরিবাধ বাঁচাও, অবৈধ বালুখোর হটাও” শ্লোগানকে সামনে রেখে শরীয়তপুরের নড়িয়াকে পদ্মা ভাঙনের ঝুকিমুক্ত রাখাতে পদ্মা নদী থেকে টেন্ডারের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার জেলার নড়িয়া উপজেলা কমপ্লেক্সে ভবনের সামনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মিসহ নানা শ্রেনী পেশার সাধারণ মানুষ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কর্নেল অবঃ এস এম ফয়সাল আহমেদ, বিএনপি নেত্রী শামীমা জামানসহ নড়িয়া উপজেলা বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতারা বর্তমানে প্রশাসন কর্তৃক নদী থেকে বালু বিক্রির টেন্ডারকে অবৈধ দাবি করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ড্রেজার কাটার নদী থেকে সরানোর দাবি জানান। অনিয়মতান্ত্রিক বালু উত্তোলনে পদ্মায় ড্রেজিং হলে বিগত সরকার আমলে করা সাড়ে ১৪শত কোটি টাকা ব্যয়ে নড়িয়ার পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাধ নদী গর্ভে বিলিন হবে। ফলে ভয়াবহ নদী ভাঙনের শিকার হবে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। টেন্ডার বাতিল করে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান বিএনপির নেতাসহ স্থানীয়রা।
নিজেদের বসতবাড়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষায মানব বন্ধনে অংশ নেয় স্থানীয় নড়িয়ার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিএনপি নেতারা বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন।

উল্লেখ যে ২০১৭ সালে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে নড়িয়া ও জাজিরার সাড়ে তিন হাজার বাড়ী ও ২০১৮ সালে নড়িয়া উপজেলার সাড়ে ৫ হাজার বসত বাড়ী সরকারী বেসরকারী অসংখ্য স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়। পরে ২০১৯ সালে শুরু হয় সাড়ে ১৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে ডানতীর রক্ষায় বাধ নির্মান প্রকল্পের কাজ। ২০২৩ সালে কাজ সম্পূর্ণ হয়।

সংবাদটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন