
ডাকাত দলের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে শরীয়তপুরে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া গণপিটানীর ঘটনায় ৬ ডাকাত আহত ও ৩জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে স্পিডবোটে করে একদল ডাকাত আঙ্গারিয়া এলাকায় প্রবেশ করে। ওই সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের প্রতিহত করতে গেলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া শুরু করে। এতে স্থানীয় তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ায় রাজগঞ্জ এলাকা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ডাকাতদের ধরতে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে নদীপথ আটকে দেয়। ওই সময় স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা ৮ ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হন। পরে তাদের গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা।
ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জয়নাল মিয়ার ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া (৩০), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯) এবং শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫)।
ঘটনার পর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাসুম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে গণপিটানিতে ডাকাত দলের ০৮জনের মধ্যে ৬জন আহত ও এ পর্যন্ত অজ্ঞাত ০২জন ডাকাতকে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ডাকাতরা আহতরা হলেন রিপন (৪০) পিতা বাচ্চু সাং কালিরচর থানা+জেলা মুন্সিগঞ্জ ।
আনোয়ার দেওয়ান (৫০) পিতা মোহাম্মদ দেওয়ান সাং কুন্ডেরচর থানা জাজিরা জেলা শরীয়তপুর।
সজীব (৩০) পিতা হারুন তালুকদার সাং কুতুবপুর থানা শিবচর জেলা মাদারীপুর।
সহ মোট ০৮ জন ডাকাত গুরুতর আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ৬ জন ডাকাতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পরিবারের কেউ না থাকায় ঢাকা যেতে পারেনি তাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫ জন পুলিশ হেফাজতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।