
বৈশাখী কোনো এক রাতে
কলমে…
ফাতেমা তুজ জোহরা
বৈশাখী কোনো এক রাতে,
যদি ঝড়ো হাওয়া হয়ে ফিরে আসি আমি!
বাহিরে তান্ডব মাতোয়ারা বসুন্ধরা।
বিজলীর প্রজ্জ্বোলিত আলোক রশ্মি আকাশের কম্পিত মেঘের ফাঁকে।
দুয়ারে দাঁড়িয়ে আমি-
দরজায় নাড়ি কড়া?
তুমি কি এলোকেশে বাতায়নে চেয়ে দেখবে শুধু ,
আমার থরথর তনুর অর্ণব জলরাশি।
হে প্রিয়তমা?
নাকি…
আনমনা হয়ে এক ছুটে খিরকী ভেঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভিজবে আমার সাথে?
বিশ্রীত বিধু লজ্জায় হবে রক্তিম!
দীপ্ত পায়ে উদাসী হবে লাজ।
চমকে থমকে উছলিবে মনোপ্রাণ
মেঘে মেঘে হবো সওয়ার ,
জাগবে ঘুমের পাড়া।
থমথমে ঝড়ো রজনী,জোনাকি মেয়েরা জ্বলে আর নেভে দূর বনে,
কাক ভেজা হয়ে জ্বালায় প্রেমের প্রদীপ
লোনা জল চোখে বাহিরে দাঁড়িয়ে আমি।
তুমি কি এলোকেশী…
ফিরিয়ে দেবে আমায়?
নাকি…
তোমার ঐ দু’হাতে অশ্রু মুছে দিয়ে বলবে,
আমি আজও তোমার অপেক্ষায়!
লাল সোহাগের সাদা শাড়িতে বসে আছি
কবরীতে বেলি ফুলের মালা জড়িয়ে।
হে প্রিয়তম…
কপালের লাল টিপটি আজও সেই
আয়নার কারুকাজ হয়ে রয়ে গেছে,
তুমি আসবে তাই মুচকি হাসি হেসে।
আমি তখন খুব আদরে রাঙ্গিয়ে দেব তোমার ললাট শত চুমু খেয়ে,
রঙ্গিন আলপোনায়।
নাকি বৈশাখী সেই রাতে…
ঝড়ো হাওয়া হয়ে মিলিয়ে যাবো হাওয়ায়?
অসহনীয় বেদনা বুকে চেপে।
বিরামহীন বিবর্ণ মোহনার টানে
হারিয়ে ফেলে তোমায়!